ডেজার্ট ভালোবাসে অথচ ভ্যানিলার নাম শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর!
আইসক্রিম, কেক, পুডিং, কাস্টার্ড যা-ই বলি না কেন, ভ্যানিলা ফ্লেভার সবারই পছন্দের শীর্ষে!
কিন্তু এই ভ্যানিলা কী জিনিস!
এটি আমরা কোথা থেকে পাই!
এটা কী ফল না ফুল?
বীজ না শাখা?


আসলে জিনিসটা কী!
ভ্যানিলা আসলে মূলত একধরনের প্রাচীন অর্কিড। এর বীজ শুকিয়ে ভেতরের শুকনো শাসটুকু চেঁছে ব্যবহার করা হয় সুগন্ধি হিসেবে। আর আমরা যে বোতলজাত তরলটা দেখি সেটাও ওই শাসটুকু তরল করেই তৈরি করা হয়। তবে তরলের থেকে শাসটুকুর ঘ্রানক্ষমতা অনেক বেশি!


কথিত আছে যে, ১৫২০ সালে, মেক্সিকোর এজটেক সম্রাট মনটেজুমা, স্প্যানিশ বিজয়ী এরনান করটিসকে পরিবেশন করা হয়েছিল ভ্যানিলার নির্যাস। এরপর করটিসই প্রথম কোকো এবং ভ্যানিলা বিন ইউরোপে নিয়ে আসেন।


ভ্যানিলা মিশ্রিত সুবাসিত গরম চকোলেট ইউরোপীয় রাজদরবারগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু রানি এলিজাবেথ (১ম), এটির ভেষজি, ইউ মরগান ১৬০২ সালের আগে পর্যন্ত অন্যান্য জিনিসেও ভ্যানিলার সুবাস ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেননি। এরপর ১৭০০ দশকে মদ্যজাতীয় পানীয়, তামাক ও সুগন্ধিতেও ভ্যানিলা ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
এজটেক জাতি এটাকে ট্লিল্কসশিটল অর্থাৎ “কালো ফুল” বলতো, যেটা পরোক্ষভাবে এটির প্রক্রিয়াজাত ফলের রঙের দিকে ইঙ্গিত করে। সেসময় তারা কোকো যুক্ত পানীয় সকলাটল বা চকোলেটকে সুবাসিত করতে ভ্যানিলা ব্যবহার করতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *